কৃষকরা বেসরকারি তামাক চাষে
সরকারের টাকায় প্রশিক্ষণ নিয়ে আইপিএম ক্লাবের সদস্যরা জড়িয়ে পড়ছে তামাক চাষে। মাটির উর্বরতা ও ফসলের ক্ষতিকারক তামাক চাষেও আইপিএম স্কুলের কৌশল ব্যবহার হচ্ছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, দেশব্যাপী প্রায় ২ লাখ আইপিএম স্কুলের প্রশিক্ষিত কৃষক এখন তামাক চাষে জড়িত আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইপিএম ক্লাবের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কাজে লাগাচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। এই ক্লাব চালুর শুরুর দিকে একাধিক তামাক কোম্পানি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হয়ে কাজ করেছে। তারা এখনও তামাক চাষে আইপিএম ক্লাবের কৃষকদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আইপিএম ক্লাবের মাধ্যমে দেশব্যাপী শস্য উৎপাদন বেড়েছে। এর সফলতা অনেক বেশি। কৃষক খুব অল্প খরচে তার ফসল উৎপাদন বাড়াচ্ছে, অপচয় হ্রাস করছে। কিন্তু কৃষক তামাক চাষে এই কৌশল ব্যবহার করলে কৃষকের পেছনে পাহাড়া দিয়ে রাখা যাবে না। কৃষকের পেছনে পুলিশ দিয়ে পাহারা বসানো যাবে না। তবে কৃষক যাতে এই কৌশল ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করে সেটি চেষ্টা করা হবে।
জানা গেছে, আইপিএম স্কুল থেকে ক্লাব তৈরির শুরুর দিকে একাধিক তামাক কোম্পানি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু কাজ করার চেষ্টা করে। তারা আমাদের লিফলেট, কাগজপত্র, কৌশলগুলো নিয়ে তামাক চাষীদের মধ্যে বিতরণ করে। পরে তামাক কোম্পানিগুলোকে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি তামাক কোম্পানিগুলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আইপিএম প্রকল্প পরিচালক মোবারক আলী বলেন, আমরা কোনো আইপিএম ক্লাবের সদস্যকে বলিনি তোমরা তামাক চাষে এই কৌশলকে ব্যবহার কর। কারণ সরকার তামাককে নিরুৎসাহিত করেছে। কিন্তু যে কৃষক ধান চাষ করে সে তামাকও করে। উৎপাদনের দিক থেকে তামাক ও ধান এক রকম। ফলে তামাক চাষে আইপিএম ক্লাবের কৃষকরা তাদের কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
Source:যুগান্তর রিপোর্ট,প্রকাশ : ২৪ আগস্ট, ২০১৪