১৮ মাস ধরে আটকে আছে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য : ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না আইন
টুটুল রহমান : আইন মন্ত্রণালয়ের গড়িমসির কারণে চূড়ান্ত হচ্ছে না ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০১৩।
প্রায় দেড় বছর ধরে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল হক বিধিমালাটি আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যাদের নিয়ন্ত্রণ করতে এই বিধিমালা সেই তামাক কোম্পানির কর্র্তাদের সঙ্গে গত মার্চ মাসে বিধিমালার সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনাও করেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভেটিংয়ের (পরীক্ষা-নিরীক্ষার) জন্য প্রায় দেড় বছর আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বিধিমালাটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজটি শেষ করতে পারেনি আইন মন্ত্রণালয়। বিধিমালাটি চূড়ান্ত না হওয়ায় ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
সংশোধিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অনুসারে ধূমপানে শরীরের বিভিন্ন অংশে কী ক্ষতি হচ্ছে তার সচিত্র প্রতিবেদন ছাপতে হবে সিগারেটের প্যাকেটে। সিগারেটের প্যাকেটের ওপরের অংশে ৫০ শতাংশ সচিত্র সতর্কবাণী প্রচার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কোম্পানিগুলোর জন্য। কিন্তু বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়ার কারণে কোম্পানিগুলো এই বিধানটি পালন করছে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত খসড়াটি চূড়ান্ত করে দেড় বছর আগে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের কারণে বিধিমালাটি পড়ে আছে আইন মন্ত্রণালয়ে। জানা গেছে, ২০০৫ সালের আইন সংশোধন করে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ গত বছরের ২৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে পাস হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আইন পাসের পর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর খসড়া বিধিমালা মতামতের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
Source:ভোরের কাগজ : ২১/০৯/২০১৪