গোবিন্দগঞ্জে সুগার মিলের সরকারী জমিতে আখের পরিবর্তে চাষ হচ্ছে তামাক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর সুগার মিলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের নিজস্ব জমিতে আখের পরিবর্তে এখন ব্যাপক হারে তামাক, ধান, গম, লাউ সহ অন্যান্য ফসল চাষ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আখ চাষিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মহিমাগঞ্জে ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত রংপুর সুগার মিলস্ লিঃ। তার পূর্বে ১৯৫৪-১৯৫৫ সালে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১৮৪২.৩০ (আঠার’শ বিয়াল্লিশ দশমিক ত্রিশ একর) জমি সরকার আখ চাষের জন্য অধিগ্রহণ করে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে মিলটি লোকসান হচ্ছে। লোকসানের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০০৩ সালে মিলটিকে লেঅফ ঘোষণা করা হয়। লে অফের দীর্ঘ আড়াই বছর পর ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে মিলটি পুনরায় চালু হয়। মিলটি চালু হওয়ার পরও মিলের নিজস্ব ইক্ষু খামারটিতে কর্তৃপক্ষ আখ চাষ না করে লীজ দেয়া অব্যাহত রেখেছে। লীজ গ্রহণকারীরা সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ইক্ষু চাষের পরিবর্তে সেখানে ব্যাপক হারে তামাক, ধান, গম, লাউ সহ অন্যান্য ফসল চাষ করছে। ফলে বিপুল পরিমাণ আখ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মিলটি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিলের এক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিয়মের বৈধতা না থাকলেও মিল কর্তৃপক্ষের কিছু অসৎ কর্মকর্তার সহযোগিতায় কতিপয় অসাধু বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ নিজ স্বার্থে লীজকৃত জমিতে শর্ত অনুযায়ী ইক্ষু চাষ না করে শর্ত ভঙ্গ করে সাব-লীজ দিয়ে ওই জমিতে তামাক, ধান, গম ইত্যাদি ফসল চাষ করছে। এদিকে, তৎকালীন সময়ে আখ চাষের জন্যই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এতে অনেক পরিবার ভূমিহীন হয়ে পড়ছে। এর পরেও দেশের স্বার্থে ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো বিষয়টিকে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু শর্ত ভঙ্গ করে অন্যান্য আবাদ করা হচ্ছে সেহেতু ভূমির মালিকরা শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে তাদের জমি ফেরতের দাবি করেন। ইতিমধ্যেই তারা জমি ফিরিয়ে পাওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন দিয়েছে।
Source:dailyprothomkhabor.com, 2 April 2015