কর প্রণয়নে তামাক কোম্পানির প্রভাব আয়ের দেড়গুণ ব্যয় চিকিৎসায়
আইন থাকলেও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে তামাক-কর বিষয়ক কোনো নীতিমালা এখনো প্রণয়ন করা হয়নি।
ধূমপান নিয়ন্ত্রণে যে সব পদ্ধতি সরকারের রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কর। আর এই কর নির্ধারণের ক্ষেত্রেও তামাক কোম্পানী নীতি-নির্ধারকের ভূমিকা পালন করছে। তাই ঠিকভাবে কর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
কোম্পানীগুলোও প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকি দিচ্ছে। যদিও সম্প্রতি, সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের উপর উচ্চহারে কর আরোপ করে ব্যবহার কমানোর বা নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআর’র ট্যোবাকো ট্যাক্স কন্ট্রোল সেলের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
তামাকজাত পণ্য সস্তা হওয়ায় মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে পড়ছে। তাই প্রতিনিয়ত বাড়ছে তামাক পণ্যের ভোক্তার সংখ্যা, যা স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। তামাক থেকে সৃষ্ট নানা মরণঘাতী ও জটিল রোগের জন্য দেশের স্বাস্থ্য ব্যয় দিন দিন বেড়েই চলেছে। তামাক কোম্পনাীগুলোর কূটকৌশলে নিতি-নির্ধারকরা তামাক কোম্পানী থেকে আসা করকে গুরুত্ব দিচ্ছে। অথচ প্রতিবছর তামাক-কর থেকে আসা আয়ের দেড়গুণ তামাক সেবনের কারণে মানুষের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, তামাকের কারণে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার পেছনে সরকারের প্রতি বছরে ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে সাত হাজার কোটি টাকা। বাড়তি চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় অন্য খাত থেকে এনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুভাষ চন্দ্র সরকার ইনকিলাবকে বলেন, তামাকজাত পণ্যের উপরে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরেও কর বৃদ্ধির সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে এসেছে। যেহেতু, তামাক সরাসরি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তাই এটা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছর কর বৃদ্ধির পাশাপাশি সারচার্জ ১ শতাংশ করা হয়েছে। কর প্রদেয় অর্থ এবং সারচার্জ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের চিন্তা করছে সরকার। একই সঙ্গে তামাকজাত পণ্যে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যয় তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন- সুভাষ চন্দ্র সরকার।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল বলেন, তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধি পেলে সেবনকারীর সংখ্যাও হ্রাস পাবে। মানুষ রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে মানুষের ব্যয়ও কমবে। তিনি জনস্বাস্থ্যের সু-রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।
এদিকে বিড়ি-সিগারেটে কর বৃদ্ধি কমাতে তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৎপর। তাদের হস্তক্ষেপ তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর অন্যতম বাধা বলে মনে করছেন তামাকের বিরুদ্ধে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা। তাদের মতে, প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার আগে তামাক পণ্যের উপর ও বিশেষ করে বিড়ি কোম্পানীগুলো করারোপ না করতে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে সুপারিশ পত্র (ডিও) পাঠায়। এইসব কোম্পানীরা কখনও শ্রমিকের কথা বা কখনো রাজস্ব কমাবার কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। অথচ এই সব শ্রমিকদেরকে আজীবনের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবছর যে পরিমাণ রাজস্ব আসে তামাকের কারণে তার দেড়গুণ ব্যয় হয় স্বাস্থ্য খাতে।
তামাক কোম্পানিগুলোর কর ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের কারণে বাজেটে কার্যকর করারোপ হয় না কোনবছরই। যা কর আরোপ করা হয় তাও পুরোপুরি পায় না সরকার। দেখা যায়, সব ধরনের তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যের উপর একই হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করে মূল্যস্তরভিত্তিক করারোপ করায় সুকৌশলে লাভবান হচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ এক গবেষণার প্রতিবেদনে দেখা যায়, পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে সিগারেট সস্তা। বিড়ির দাম আরো কম। তামাক ব্যবহারে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বাংলাদেশে জিডিপি’র প্রায় ৩ শতাংশে সমপরিমাণ।
বর্তমান কর ব্যবস্থার ব্রান্ডের ও ধরণভেদে তামাক পণ্যের উপর করের হার ভিন্ন। সস্তা ব্রান্ডের সিগারেট ও বিড়ির উপর করের পরিমাণ অনেক কম। জর্দা ও গুলের দামতো একেবারেই কম।
তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) রয়েছে। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ২০০৩ সালে। ২০০৪ সালে যাতে অনুস্বাক্ষরও করে। আন্তর্জাতিক এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, তামাকজাত দ্রব্যের চাহিদা হ্রাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ নিয়ে করণীয় সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এই চুক্তিতে তামাকের ব্যবহার হ্রাসে- বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে তামাকের দাম বৃদ্ধি এবং কর বৃদ্ধি করা একটি কার্যকর উপায় হিসেবে বিষয়টি সরকার বিবেচনায় আনবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান দাবি বা অধিকারকে ক্ষুন্ন না করে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ দেশের স্বাস্থ্য রক্ষার বিষযটি বিবেচনা করে যথোপযুক্তভাবে তামাকের উপর কর বৃদ্ধির নীতি নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে জরুরী ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বর্তমানে বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের উপর বিভিন্ন হারে কর আরোপ করা হচ্ছে। এমনকি সিগারেট ও বিড়ির উপর ভিন্ন ভিন্ন মূল্যস্তরের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হারে কর আরোপের কারণে তামাক-কর কাঠামোয় জটিলতাও বেড়েছে এবং কার্যকর প্রয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। তাই একস্তর বিশিষ্ট কর কাঠামোর কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তামাকের উপর উচ্চহারে করারোপ ও তা কার্যকর করা হলে তামাকজতা পণ্যের ব্যবহার, বিস্তার ও এ থেকে সৃষ্ট সমস্যা কমবে।
বাংলাদেশে তামাকজাত পণ্যের উপর বিভিন্ন ধরনের কর বিদ্যমান-ধোঁয়াযুক্ত সিগারেট ও বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন পণ্যের উপর সম্পূরক কর; আমদানি পণ্য এবং আমদানি ও রপ্তানি করা তামাক পাতার উপর শুল্ক আরোপ। পাশাপাশি সব রকম তামাকজাত পণ্যের বিক্রয়মূল্যের উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ধার্য্য রয়েছে।
তামাকের কর ব্যবস্থা নিয়ে এনবিআর’র সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে সিগারেটের কর কাঠামো জটিল- খুচরা মূল্যের ভিন্ন ভিন্ন মূল্যস্তর ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন ‘এড ভ্যালোরেম কর’ ধার্য করা হয়। এই বহুস্তরভিত্তিক কর কাঠামো রাজস্ব আদায়ে এক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে এবং কৌশলে কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ করে দেয় তামাক কোম্পানীগুলোকে।
এনবিআর সূত্র জানায়, বিড়ির উপর খুবই কম হারে কর ধার্য করা হয়; উপরন্তু প্রকৃত মূল্যের উপর কর ধার্য না করে পূর্বেই ইচ্ছেমাফিক অপেক্ষাকৃত স্বল্পমাত্রায় কৃত্রিম ‘ট্যারিফ ভ্যালু’ ধার্য করা হয়। এতে প্রকৃত ধার্য কর আরো কমে যায়।
চলমান ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরে বাংলাদেশে সিগারেটের উপর চারটি মূল্যস্তর বিদ্যমান। এই স্তরগুলোর উপর বিভিন্ন মূল্যস্তরভিত্তিক সম্পূরক করের হার ৪৩ থেকে ৬১ শতাংশ পর্যন্ত। আর ১৫ শতাংশ মূসক সহ করভার দাঁড়ায় ৫৮ থেকে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত। বিড়ির ক্ষেত্রেও শলাকার পরিমাণ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন কর হার প্রযোজ্য। বিড়ির ধরন-ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন ভেদে কর ধার্য করা হয়। তবে, বাস্তবে এখন ‘ফিল্টারযুক্ত’ বিড়ির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের উপর চলমান (২০১৪-১৫ অর্থ-বছর) ধার্যকৃত সম্পূরক কর ৬০ শতাংশ এবং মূসক ১৫ শতাংশ। বর্তমান রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায় ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের কর আদায় প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ফাঁক-ফোকর বিদ্যমান রয়েছে। জর্দ্দা ও গুলের প্যাকেটে কর পরিশোধের কোন ধরনের চিহ্নই সচরাচর দেখা যায় না। এটি রাজস্ব ফাঁকির একটি অন্যতম উদাহরণ। এ ছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন ওজনের মোড়কে এসব বিক্রয় করা হচ্ছে। এতে কর ফাঁকি দেয়া বা এড়িয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, যথাযথভাবে তামাক কর আদায় সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উৎস, যা স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমাতে সহায়ক। পাশাপাশি স্বার্থবাদী মহলের অপকৌশল তামাক-কর নীতিমালা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে যেন ব্যাহত না করে সে জন্য যথাযথ প্রয়োগযোগ্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, তামাকজাত পণ্যের মূল্য এবং উচ্চহারে কর বৃদ্ধি এর সেবন কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে সিগারেটের ১০ শতাংশ গড় মূল্যবৃদ্ধি এর সেবনের পরিমাণ ৫ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং একইভাবে বিড়ির ১০ শতাংশ গড় মূল্যবৃদ্ধি তার সেবনের পরিমাণ প্রায় ৭ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও গবেষণায় উঠে এসেছে- তামাকজাত পণ্যের উপর উচ্চ করহার এবং সুষ্ঠু কর ব্যবস্থাপনা তামাকজাত পণ্যের সেবন ও ব্যবহারকে কমায়। পাশাপাশি তামাক থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা নিরসনে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল পরিমাণ খরচও কমায়। একই সঙ্গে তামাকজাত পণ্যের করহার বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারে।
বিড়ি-সিগারেটের শুল্ক বৃদ্ধি করলে ৭ বছরের রাজস্ব দিয়ে পদ্মাসেতু করা সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেন, সব ধরনের সিগারেটে ৭০ শতাংশ শুল্কারোপ করলে বছরে রাজস্ব বাড়বে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিড়িতে প্রতি ২৫ শলাকায় ৪ দশমিক ৯৫ টাকা হারে করারোপ করলে রাজস্ব বাড়বে ৭২০ কোটি টাকা। ৭ বছরে যা পদ্মাসেতু নির্মাণ ব্যয় ২৪ হাজার কোটি টাকার সমান।
বারকাত বলেন, জনগণের প্রকৃত আয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মিল রেখে তামাকের মূল্যের বার্ষিক সমন্বয় সাধন, তামাক কর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা ও কর ফাঁকি রোধে তামাক পণ্যের শুল্কমুক্ত বিক্রি বন্ধ করতে হবে। পাশপাশি তামাক থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের একটি অংশ জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করার কথা বলেন এ অর্থনীতিবিদ।
তামাক নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান তাবিনাজের দাবি- ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য জর্দা, গুলসহ সব ধরণের তামাকপণ্যের ওপর উচ্চহারে কর আরোপ অর্থাৎ এ বছর (২০১৫-২০১৬) বাজেটে ৭০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্য করতে হবে। এতে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমবে। পাশপাশি রাজস্ব আয় বাড়বে। একই সঙ্গে সব ধরণের তামাক পণ্যের তদারকির পাশপাশি আদায়কৃত কর ক্যান্সার ইনষ্টিটিউট ও হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে রোগীদের সেবায় ব্যবহার কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে তামাকজাত পণ্যে কর অব্যাহতি পেতে বা কর যাতে না বাড়ানো হয় সেজন্য ইতোমধ্যে তামাক কোম্পানিগুলোর অপতৎপরতা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সহ নীতিনির্ধারকদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন। যা তামাকবিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তি ‘এফসিটিসি’ লঙ্ঘনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তামাকবিরোধী সংগঠকরা মনে করছেন, এফসিটিসি’র শর্ত অনুযায়ী তামাক কোম্পানি বা এনবিআর কেউই এ ধরনের আলোচনায় বসতে পারে না। এফসিটিসি বা ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল’ বিশ্বব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩-এর গাইড লাইন অনুসারে তামাক কোম্পানির সঙ্গে এ ধরনের নীতিগত আলোচনা নিষিদ্ধ। এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, এফসিটিসি লঙ্ঘন করে আগামী ২৯ এপ্রিল এনবিআর-এ তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে এক আলোচনায় বসছে। এনবিআর’র ট্যোবাকো ট্যাক্স কন্ট্রোল সেলের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
তামাকের ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ইতোমধ্যে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি পাস হয়েছে। এরপরও সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো তাদের অপতৎপরতা চালু রেখেছে।
Source: Dailyinqilab,27-04-2015