বিএটিবির ‘ট্যালেন্ট হ্যান্ট’ বন্ধের দাবি
তরুণ প্রজন্মকে ‘রক্ষায়’ বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটল অব মাইন্ড- ২০১৫’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা।
বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিযোগিতাকে ‘বেআইনি’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানানো হয়।
বিএটিবির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০০৪ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা (ব্যবস্থাপক) খুঁজে পেয়েছে তারা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
‘প্রজ্ঞার’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কর্মসংস্থান নয়, প্রচার-প্রচারণাই ‘ব্যাটল অব মাইনন্ডের’ আসল উদ্দেশ্য। গত এগারো (২০০৪-২০১৪) বছরে বিএটিবি কর্মসংস্থানের নামে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১৫ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে মাত্র ৭১ জনকে চাকরি দিয়েছে।”
রোড শো, ভ্রমণ, বিনোদনসহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে বলে দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, “ব্রান্ড প্রমোশন, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতি প্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই কোম্পানিটি প্রতিবছর এই মৃত্যু বিপণন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।”
এছাড়া ২০১৩ সালে সংশোধিত তামাক আইন অনুসারে তামাক কোম্পানির নাম, সাইন, ট্রেডমার্ক, প্রতীক ব্যবহার করে এ ধরনের কোনো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আইনের ওই ধারা লঙ্ঘন করলে অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এই প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধ করতে ইউটিউবে প্রামাণ্যচিত্র দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রজ্ঞা বলেছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৫.১ (ঙ) ধারা অনুযায়ী ইন্টারনেটে এ ধরনের প্রচারণা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
Source: bangla.bdnews24.com,15-10-15