E-newsletter: August 2018 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ উদ্বেগজনক। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক: এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০১৮’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচকে এশিয়ার দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হস্তক্ষেপ)। গবেষণায়, বিগত দুইবছরে (২০১৬ ও ২০১৭) সরকার তামাক কোম্পানির নানাবিধ হস্তক্ষেপ কিভাবে আমলে নিয়েছে এবং এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩-এর আলোকে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতিমালা সুরক্ষায় কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা মূল্যায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে তামাক কর সংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন এবং তামাক পাতার মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়াসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়েছে। তামাক কোম্পানির প্রতিনিধি এবং তদবিরকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া তামাক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সরকারি কর্মকর্তাদের সদস্যপদ গ্রহণ, কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমে (সিএসআর)-এ সরাসরি অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে কোম্পানি নির্বাহীদের সঙ্গে নীতি নির্ধারকদের অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ লক্ষ্য করা গেছে। তামাক কোম্পানি বা এর প্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়বস্তু এবং আলোচনার ব্যাপারে কোন ধরনের স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করা হয়নি। গবেষণার ফল বলছে, সরকারের অন্তত চারটি মন্ত্রণালয় (অর্থ, কৃষি, আইন এবং শ্রম) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তামাক কোম্পানির ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের মুখে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। চলমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন অসম্ভব। পরিস্থিতি উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে গবেষণায় এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর গাইডলাইনের আলোকে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কোড-অব-কন্ডাক্ট প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব এড়াতে সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দকে তামাক কোম্পানির পদ থেকে ইস্তফা দেয়া, রপ্তানি শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতিসহ তামাক কোম্পানিকে প্রদত্ত সকল সুবিধা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। |
||||