E-newsletter: November 2019 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিতে কি থাকবে, কি থাকবে না সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মতামত দিতে চায় তামাক কোম্পানিগুলো। মাধ্যম হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরকে। অতি সম্প্রতি সরকারি সংস্থাটি এবিষেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে এবং বিবিসি বাংলা-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেছেন, যেহেতু তামাক কোম্পানি বড় স্টেকহোল্ডার তাদের মতামত গ্রহণ না করে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন করা হলে তা বাস্তবায়ন করা যাবেনা। অথচ তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি বলছে তামাকনিয়ন্ত্রণ বিষয়ে যেকোন নীতি প্রণয়ন করতে সরকার তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত থাকবে। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই চুক্তি মেনে খসড়া জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতির ওপর মতামত চেয়ে তামাক কোম্পানি ব্যতীত সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার কাছে চিঠি পাঠালে তার জবাবে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ দেয় এনবিআর। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও তামাক কোম্পানির জোরালো হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা গেছে। এনবিআর ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন বিষয়ে একটি সভা আয়োজন করে যেখানে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ), দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেডসহ অন্যান্য বেশ কিছু সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিল। প্রধান স্টেকহোল্ডার হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উক্ত বৈঠকে ডাকা হয়নি । চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাশের তিনমাসের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করে বিড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩৫% থেকে কমিয়ে ৩০% করেছে এনবিআর। গত অর্থবছরে এনবিআর একইভাবে একটি তামাক কোম্পানিকে ২ হাজার কোটি টাকা কর অব্যাহতি দিয়েছিল। শুধু করারোপ নয়, তামাকনিয়ন্ত্রণের সকল বিষয়েই এনবিআরকে যুক্ত করছে তামাক কোম্পানিগুলো। তারা সুকৌশলে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এফসিটিসি লঙ্ঘনে প্ররোচিত করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। আমাদের বিশ্বাস সরকার তামাক কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ থেকে জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দিতে তথা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর আলোকে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে। |
||||