E-newsletter: December 2019 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
আপনি ঘর থেকে বের হবেন অথচ জাপান ট্যোবাকোর (জেটিআই) প্রচার কার্যক্রম চোখে পড়বে না এটা এখন বাংলাদেশে প্রায় অসম্ভব। এমনকি ঘরে বসেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি কোম্পানিটির বিপণন আগ্রাসনের শিকার হতে পারেন। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং দণ্ডণীয় অপরাধ। আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, “তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার” অর্থ হচ্ছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো তামাকজাত দ্রব্য বা তামাকের ব্যবহার প্রবর্ধনের উদ্দেশ্যে যে কোন ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। এমনকি বিক্রয়স্থলেও কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না মর্মে আইনে উল্লেখ রয়েছে। অথচ জেটিআই বাংলাদেশের সিগারেট বাজারে প্রবেশের পর থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণ করে আগ্রাসী বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। রাস্তা-ঘাট, ছোট-বড় দোকান ও চায়ের স্টল, ফেসবুক কোথায় নেই তাদের প্রচারণা!। রাস্তায় নামলেই চোখে পড়ে নির্দিষ্ট রংয়ের অসংখ্য সিগারেট ডেলিভারি ভ্যান রিকশা এবং সাইকেল, যা কোম্পানির ব্র্যান্ড প্রমোশনে কাজে লাগানো হচ্ছে। স্থানীয় মিডিয়ায় তারা এসব খবর ফলাও করে প্রচার করছে। একই রকম টি-শার্ট পড়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য প্রচারকর্মী, তারা নিজেদের জাপান টোব্যাকোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। সিগারেটের প্রচারণার জন্য তারা বিভিন্ন এলাকায় দল বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তামাকপণ্যের বিক্রয়স্থলগুলো সাজিয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন লিফলেট, স্টিকার, সিগারেটের ডামি প্যাকেট দিয়ে। বিভিন্ন গেম শো, মুভি কার্নিভাল আয়োজন করে তরুণদের ধূমপানে উৎসাহিত করছে কোম্পানিটি। সিগারেট ক্রয়ে প্রলুব্ধ করতে চায়ের দোকানে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে টাকায় এক কাপ চা এবং একটি সিগারেট লেখা সম্বলিত স্টিকার। বিক্রয় বাড়াতে উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে বিক্রেতাদের উৎসাহিত করা এবং তাদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। একইসাথে এসমস্ত কার্যক্রমের ছবি ফেসবুককে ছড়িয়ে দিয়ে তরুণদের আকৃষ্ট করার কাজও চলছে সুকৌশলে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্য পূরণে জোড়ালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, তামাকপণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং নতুন ধূমপায়ী সৃষ্টির মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করতে জাপান টোব্যাকো (জেটিআই) মরিয়া হয়ে উঠেছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই মৃত্যুবিপণন কার্যক্রম রুখে দিতে হবে। |
||||