বিজ্ঞাপনের নিত্যনতুন কৌশল খুঁজছে তামাক কোম্পানিগুলো
সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের আড়ালে বিজ্ঞাপনের নিত্যনতুন কৌশল খুঁজছে তামাক কোম্পানিগুলো। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জনসেবা নয়, কর মওকুফের সুবিধা নিয়ে কৌশলে তামাক চাষ সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার হচ্ছে এ খাতের অর্থ। কুষ্টিয়া সদরে পানিতে আর্সেনিক না থাকলেও একটি তামাক কোম্পানী জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে বসিয়েছে এই বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট। ঝিনাইদহের এই আইপিএম ক্লাবটি গত ছয় বছরে মাত্র একবার ২৫জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাও আবার সমন্বিত নয়, কেবল তামাকচাষ পদ্ধতি। দীর্ঘদীন ধরে বন্ধ আছে ক্লাবটি। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প দীপ্তর মাধ্যমে গোটা বান্দরবানকে আলোকিত করার দাবি করে বিজ্ঞাপন দিলেও বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএস আর খাতে দেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলায় একটি শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক তামাককোম্পানী ব্যয় করেছে ৫ কোটিরও টাকারও বেশি। কর নীতিমালা অনুযায়ী এই সিএস আর দেখিয়ে নিয়মিত হারে কর মওকুফ সুবিধাও নিচ্ছে তারা। তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ালে লাভ হ্রাস পাবে, ফলে এ ধরনের সেবামূলক কাজও কমে যাবে বলে দাবি তাদের। সিএস আরের আড়ালে আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে সরকার শীঘ্রই অনুসন্ধান শুরু করবে বলে জানালেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- এসব সেবামূলক কাজের আড়ালে কেবল কর মওকুফই নয়, মূলত বিজ্ঞাপন করছে কোম্পানীগুলো। পাশাপাশি আইন প্রনয়ণ ও কঠোর কর আরোপের ক্ষেত্রে সহানূভুতির ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব বিষয়।