তামাকের বিক্রি বাড়লেও বাড়ছে না সরকারের রাজস্ব
গত পাঁচটি অর্থবছরে তামাকজাত পণ্যের মূল্য বাড়লেও কর বেড়েছে নামমাত্র। তাই বছর বছর বিক্রি বাড়লেও সরকারের রাজস্ব বাড়ছে না। আর এ জন্য প্রশাসনে তামাক কোম্পানীগুলোর প্রভাব, সরকারের সদিচ্ছা, রাজস্ববোর্ডের নীতিনির্ধারণে শিথীলতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১১ থেকে ২০১৩, গত তিন বছরে তামাকজাত পন্যের স্ল্যাব প্রতি মূল্য বেড়েছে ২২০ থেকে ৮৩৩ শতাংশ। সেখানে বিক্রয়ের উপর কর বেড়েছে মাত্র ১৪ থেকে ২২ শতাংশ। এসময় বিড়ির দাম কিছুটা বাড়লেও কর ছিল প্রায় অপরিবর্তিত। ফলে তামাক কোম্পানীগুলোর লাভ বাড়লেও, বাড়েনি সরকারের রাজস্ব। সত্তর দশক থেকে তামাক বিরোধী সংস্থাগুলো তামাকের ব্যবহার কমাতে উচ্চ-মধ্য-নিম্নমান বা স্ল্যাব ব্যবস্থা তুলে, গড়ে ৭০ শতাংশ কর বাড়ানোর জোর দাবি জানালেও বাস্তবে ২০০৪ সালে কর না বাড়িয়ে আরো একটি স্ল্যাব যুক্ত করা হয়। তামাকজাত পণ্যে কার্যকর হারে করারোপে ২০১০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় এন বি আরে স্থাপন করা হয় টোবাকো ট্যাক্স সেল। লক্ষ্য ছিল তামাকের ব্যবহার কমাতে বিক্রেতার লাইসেন্স, সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি ইত্যাদি নজরদারী করা এবং তামাক বিষয়ক গবেষণা। কিন্তু আসলে কি করছে টোবাকো ট্যাক্স সেল? সে বিষয়ে সেল প্রধান প্রকাশ্যে কথা বলতেই নারাজ। সটঃ ফিরোজ শাহ আলম। প্রধান, টোব্যাকো ট্যাক্স সেল। এরকম অবস্থায় সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন । বিশেষজ্ঞরা বলছেন- তামাকের ব্যবহার কমাতে সবধরণের তামাক পণ্যকে করের আওতায় আসতে হবে, তুলে দিতে হবে মূল্যস্তর বা স্ল্যাব। কর নির্ধারণ করতে হবে উৎপাদিত তামাকপণ্যের উপর ।