E-newsletter: October 2024 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশোধনী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সম্প্রতি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এবং জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরারর চিঠি দিয়েছে। চিঠির অনুলিপি শিল্প ও শ্রম উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিল্প সচিব, অর্থ সচিব, আইন সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যনকে প্রেরণ করা হয়েছে। চিঠির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে গণমাধ্যমে নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি দুটি’র দাবি আইন সংশোধন হলে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে, যা ভিত্তিহীন এবং অসত্য। পাশাপাশি খসড়া সংশোধনী তৈরীতে তামাক কোম্পানির মতামত নেয়া হয়নি মর্মে অভিযোগ করেছে তারা। কিন্তু এফসিটিসি’র আর্টিক্যাল ৫.৩ গাইডলাইন এর সুপারিশ ৩.১ অনুযায়ী তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নীতি প্রণয়নে তামাক কোম্পানিকে পার্টনার হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া এবং সুপারিশ ৩.৪ অনুযায়ী তাদের মতামত গ্রহণের সুযোগ নেই। কোম্পানিগুলোর দাবি আইন সংশোধন হলে ১৫ লক্ষ খুচরা বিক্রেতা কর্মসংস্থান হারাবে, যা মোটেও সত্য নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় জরিপ প্রতিবেদন ২০২১ অনুযায়ী, দেশে খাদ্য, পানীয় এবং তামাকপণ্য বিক্রি করে এরকম খুচরা দোকানের সংখ্যা মাত্র ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৪১। মূলত পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্য ক্ষতি থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা এবং তরুণ প্রজন্মকে তামাকের বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্ত রাখতেই আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যেগ গ্রহণ করেছে সরকার। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এফসিটিসি ও এসম্পর্কিত গাইডলাইনের সুপারিশ যথাযথভাবে অনুসরণ করে এবং আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকসহ সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আইনটির খসড়া সংশোধনী প্রস্তুত করেছে। আমাদের প্রত্যশা তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ মুক্ত থেকে সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত খসড়াটি চূড়ান্ত করবে। |
||||