E-newsletter: March 2016 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে প্রেরিত একটি ডিও লেটার থেকে আবারও জানা গেল তামাক কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষায় কতটা উদগ্রীব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। গত ১০ মার্চ ২০১৬ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত এক ডিও নথি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আইন অনুযায়ী ১৯ মার্চ ২০১৬ থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তাবিহীন কোনো তামাকজাত দ্রব্য বাজারে বিক্রয় করা নিষিদ্ধ এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও এনবিআর চেয়ারম্যান চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন, ১৯ মার্চ পরবর্তী কতদিন বা কোন তারিখ পর্যন্ত পূর্বের প্যাকেট বিক্রয় করা যাবে তা যেন তামাক কোম্পানিগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়। ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন বাজার পর্যায়ে নয় ফ্যাক্টরি গেটে নিশ্চিত করা সমীচিন হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া রাজস্ব ক্ষতির অজুহাতে আইন ভঙ্গ করে স্বাস্থ্যক্ষতির ছবি সিগারেট প্যাকেটের উপরে না দিয়ে নিচে ছাপানোর বিষয়েও তামাক কোম্পানির সাথে একমত পোষণ করছে এনবিআর। এদিকে গত ২৯ মার্চ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি) এর একটি প্রতিনিধি দল মাননীয় শিল্পমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করেছিল। আত্মার সদস্যবৃন্দ’র সহায়তায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং তামাক বিরোধীদের আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়। সম্প্রতি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত প্রাক-বাজেট বৈঠকসূচিতে আগামী ২৪ এপ্রিল তামাক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। সভাটি যেন এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ মেনে স্বচ্ছতার সাথে করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্যবসার দোহাই দিয়ে এনবিআর, অর্থ, শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পাশে রাখতে তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিবছর বাজেটের এধরনের দৌঁড়-ঝাঁপ করে থাকে। সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করেছে তামাকের ব্যবহার ও এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের জন্য, তামাক কোম্পানিকে ব্যবসায়িক সুবিধা প্রদানের জন্য নয়। অথচ মহান জাতীয় সংসদে পাশকৃত আইন লঙ্ঘনে তামাক কোম্পানিকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা প্রদান করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তামাক কোম্পানির যুক্তিগুলো নিজেদের যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে চলেছে এনবিআর। সামানে বাজেট, আমাদের আশংকা তামাক কোম্পানিগুলোকে ব্যাপক কর সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করবে সংগঠনটি । এবং এভাবে চলতে থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। |
||||