জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
বিড়ির উপর প্রস্তাবিত করহার চূড়ান্ত বাজেটে প্রত্যাহার করার জন্য বিড়ি কোম্পানিগুলো নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। বিড়ি শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার নামে নানাধরনের হাস্যকর তথ্য-উপাত্ত এবং খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তারা। পরিতাপের বিষয় সরকারের কতিপয় মন্ত্রী এবং সাংসদও বিড়ি কোম্পানির পক্ষে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, কমদামি সিগারেটের মূল্য কমাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জোর তদবির চালিয়েছে তামাক কোম্পানিগুলো। তামাকপণ্যে প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহারে এভাবেই তামাক কোম্পানিগুলোর মাসব্যাপী দৌঁড়-ঝাঁপ অব্যাহত ছিল। গত ২০ জুন লালমনিরহাট জেলায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর আয়োজনে ইফতার পার্টিতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় প্রশাসনকে প্রভাবিত করতেই বিএটিবি-এর আয়োজন। অন্যদিকে গত ১৯ জুন ২০১৬ তারিখে তামাকপণ্যের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের তিন মাস অতিবাহিত হলেও বাজারে পরিবর্তিত স্বাস্থ্যক্ষতির ছবিযুক্ত মোড়ক চোখে পড়ছেনা। এছাড়া তামাকবিরোধীদের আশা ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা প্রত্যাহার করে তামাকপণ্যের প্যাকেটের উপরের ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র সতর্কবাণী মুদ্রণে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করবে। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই আইন বাস্তবায়নে খোদ স্বাস্থ্য সচিব বড় বাধা। তামাক কোম্পানির সাথে তার সখ্য অনেক দিনের। তিনি অতীতে বিএটিবির নন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ছিলেন। এভাবে সুকৌশলে তামাক নিয়ন্ত্রণকে বাধাগ্রস্ত করতে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে লাগাচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। তামাক কোম্পানির এসকল কূটকৌশল রুখতে অতিসত্বর এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ এর আলোকে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।
|