Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: May 2017
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে

২০১৭-১৮ প্রস্তাবিত বাজেটে আবারো বহুজাতিক তামাক কোম্পানি বিএটিবি-কে ছাড় দেওয়া হলো। বাজেটে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটে করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি। অথচ এই দুই স্তরেই বিএটিবি তার বেশিরভাগ (১৫টির মধ্যে ১০টি) ব্রান্ড বাজারজাত করছে। উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ বাজেটকে সামনে রেখে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন ফোরামে তামাকপণ্যে করারোপের জন্য বেসরকারি সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর সাথে আলোচনার কথা বলেছেন। বিগত ২০১৬-১৭ বাজেটেও তামাকবিরোধীদের তিনি একই পরামর্শ দিয়েছিলেন। মাননীয় অর্থমন্ত্রী কেন প্রতি বছর বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তামাক-কর বিষয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেন তা বোধগম্য নয়। তবে, পিআরআই এর সাথে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি বিএটিবি এর সখ্য অনেক পুরানো। ২০১২ সালে বিএটিবি’র অর্থায়নে তামাকচাষের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত ইতিবাচক প্রভাব “Tobacco Cultivation: An Assessment of Socio-Economic and Environmental Impacts”  শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। কাজেই প্রতিবছর বাজেটে বিএটিবি’কে সুবিধা প্রদানের প্রবণতা দেখে বলা যায়, কোম্পানিটি হয়ত এবারেও পিআরআই এর সম্পর্ককে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুযায়ী সরকার তামাক কোম্পানির সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কোন পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেনা।

অন্যদিকে, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় তামাক কোম্পানিকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য সিগারেটের নিম্নস্তরকে দেশি ব্রান্ড এবং আন্তর্জাতিক ব্রান্ড নামে দুটি নতুন স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। দেশি ব্রান্ডের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা এবং আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএটিবি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও নিম্নস্তরে উৎপাদিত ৫টি ব্রান্ডের সিগারেটের মূল্য ৩৫ টাকার পরিবর্তে দেশি ব্রান্ডের ন্যায় ২৭ টাকা হিসেবে উল্লেখ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

একইসাথে বাজেটকে প্রভাবিত করতে বিড়ি মালিকরা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার নামে সারাদেশে মানববন্ধন ও নানাধরনের অসত্য তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করছে। বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে বিড়িতে কর না বাড়ানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে। এভাবে করারোপ প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার এবং সেই সাথে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।