E-newsletter: July 2017 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপে আবারও ভেস্তে যেতে পারে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন! জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ হতে সকল তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে উপরের অংশে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বাধ্যতামূলক মর্মে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) এর বিরোধিতা করে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) একটি চিঠি দিয়েছে। এবারেও ব্যান্ড রোল বা স্ট্যাম্পের দোহাই দিয়ে প্যাকেটের নিম্নভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রাজস্ব হ্রাসের হুমকি দিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো গত বছর যেমন এনবিআর’কে তাদের পক্ষে এনেছিল, সেই সম্ভাবনা এবারও দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সিগারেট কোম্পানির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ (এমডি) একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে বৈঠকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, এফসিটি’র আর্টিকেল ৫.৩ ধারা চুক্তি অনুসারে সরকারের কোন প্রতিনিধি তামাক কোম্পানির সাথে এ ধরনের গোপন বৈঠক করতে পারে না। তামাক কোম্পানির এসব অপতৎপরতা মোকাবিলা করে আগামি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রীর চূড়ান্ত বাজেট (২০১৭-১৮) বক্তব্য অনুযায়ী প্রতি দশ শলাকা নিম্নস্তরের (আন্তর্জাতিক ব্রান্ড) সিগারেট ৩৫ টাকায় বাজারজাত করার কথা থাকলেও বিএটিবি তা অগ্রাহ্য করে দেশি কোম্পানির ন্যায় ২৭ টাকায় বাজারজাত করছে। জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া চূড়ান্ত বাজেট নির্দেশনা লংঘন করার এই ধৃষ্টতাই প্রমাণ করে বিএটিবি’র ক্ষমতা কত বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তামাকের উপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক-নীতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। এর কোনো প্রতিফলন নেই এ বছরের বাজেটে। জটিল মূল্যস্তরভিত্তিক কর-কাঠামো প্রথা তুলে না দিয়ে বরং দেশীয় শিল্প রক্ষার নামে নিম্ন মূল্যস্তরের সিগারেটে আরেকটি স্তর বাড়ানো হয়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এভাবে তামাক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘২০৪০ নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জন সম্ভব হবেনা। |
||||