E-newsletter: July 2019 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
এক রঙা টি-শার্ট আর ভ্যান নিয়ে দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেটিআই বিক্রয়কর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রয়েছে তাদের সরব উপস্থিতি। তরুণদের আকৃষ্ট করতে পাড়া ও মহল্লায় চলছে গেম-শো, মুভি কার্নিভালসহ নানা আয়োজন । চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পুঁজি করে জাপানিজ কোয়ালিটি শিরোনামে এক নজীরবিহিন মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালিয়েছে কোম্পানিটি। এর আগে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জবসার্চ পোর্টাল বিডিজবস এর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার চালিয়েছিল তারা তবে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা’র হস্তক্ষেপে বিডিজবস কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত জেটিআই এর বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ৪৯ শতাংশ তরুণ জনগোষ্ঠির এই দেশ এখন তামাক ব্যবসা সম্প্রসারণের লোভনীয় বাজার। জেটিআই সিইও বলেছেন, বাংলাদেশের সিগারেট বাজার বছরে ২ শতাংশ হারে বাড়ছে একারণেই তারা বাংলাদেশে ১.৪৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। জেটিআই রিজিওনাল চীফ এর সাক্ষাৎকারেও একই ধরনের পূর্বাভাস মিলেছে। এসব হিসাব-নিকাশ করে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত উপায়েই বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে জেটিআই। জানা গেছে, ব্যবসা সম্প্রসারণের পথ সুগম করতে তারা ২০১৫ সাল থেকে জেটিআই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তথাকথিত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে, যার মূল লক্ষ্য নীতিপ্রণেতা ও প্রশাসনযন্ত্রকে প্রভাবিত করা। তবে সবমিলিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সিগারেট বাজারে প্রবেশের পর থেকে জাপান টোব্যাকো (জেটিআই) যেভাবে আগ্রাসী প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে তাতে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অস্তিত্ব ও প্রয়োগ কার্যত হুমকির মুখে পড়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে জেটিআই এর আগ্রাসী প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে, আইনের কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর আলোকে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ রহিত করতে হবে। ভবিষ্যতে বৈদেশিক বিনিয়োগের নামে নতুন কোনো তামাক কোম্পানির প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনে দেশের প্রচলিত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে তামাক নয়, জনস্বাস্থ্য সবার উপরে।
|
||||