E-newsletter: October 2019 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
বাংলাদেশে তামাককর পদক্ষেপে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এমনকি জাতীয় সংসদে বাজেট পাশ হওয়ার পরও পরবর্তীতে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তামাকপণ্যের ওপর আরোপিত করহার কমিয়ে আনা হচ্ছে। তামাক কোম্পানির শক্তিশালী হস্তক্ষেপই এর মুল কারণ। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক পার না হতেই বাজেটে বিড়ির ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ৩৫% থেকে কমিয়ে ৩০% নির্ধারণ করে ১৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি প্রজ্ঞা কর্তৃক প্রকাশিত ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক, ২০১৯’ এর ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩৫% প্রস্তাব করা হলেও চূড়ান্ত বাজেটে তা কমিয়ে ৩০% নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবং ২০১৮ সালের জুন মাসে এক বিশেষ আদেশ জারির মাধ্যমে বিএটিবিকে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি কর অব্যাহতি প্রদান করে এনবিআর। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাাবিত বাজেটে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের করারোপে এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বাতিল করে খুচরা মূল্য পদ্ধতি নির্ধারণ করার পর চূড়ান্ত বাজেটে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে ট্যারিফ ভ্যালুর ওপর কর নির্ধারণ করা হয়। গবেষণাটির বৈশ্বিক ফলাফল অনুযায়ী ৩৩টি দেশের মধ্যে যে ৩টি দেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। বহুজাতিক তামাক কোম্পানিতে বাংলাদেশ সরকারের ৯.৪৮% শেয়ার এবং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে উচ্চ পর্যায়ের ৪-৬ জন সরকারি কর্মকর্তা মনোনীত থাকায় তামাক কোম্পানির পক্ষে বিগত বছরে সরকারের প্রশাসনযন্ত্রে অবাধে প্রবেশ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপসমূহে হস্তক্ষেপ করা সহজ হয়েছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। গবেষণায় তামাক করসহ তামাক নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য বিষয়ে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ রুখতে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার এবং তামাক কোম্পানির সাথে যোগাযোগ বা আলোচনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য আর্টিক্যাল ৫.৩ এর গাইডলাইনের আলোকে প্রণীত খসড়া আচরণবিধি চূড়ান্তকরণের ব্যাপারে জোর সুপারিশ করা হয়। |
||||