E-newsletter: March 2020 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
ভয়াবহ সংকটেও সুবিধা আদায়ে তৎপর তামাক কোম্পানিগুলো। করোনায় অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা ছাড়া সবকিছুর উৎপাদন ও চলাচল বন্ধ থাকলেও ২টি বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সরকারি নির্দেশনা (বিশেষ) আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। কৌশলে সরকারকে কিছু ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী অনুদান সহায়তা দিয়েছে এবং তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারে নেমেছে তারা। বিড়ি কোম্পানিগুলোও সংঘবদ্ধ মিডিয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সরকারি সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। গোটা দেশ যখন করোনা সংকটে দিশেহারা তখন তামাক কোম্পানিগুলো এই সংক্রমণকে আরো ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করছে এবং সবচেয়ে দুঃখজনক হলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার তামাক কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করছে। বিশেষ করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নির্দেশনা করোনা পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করবে এবং দেশের অপ্রতুল স্বাস্থ্য সেবাখাতের উপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে তামাকাসক্তরা করোনায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এধরনের রোগীর ক্ষেত্রে অনেক সময় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থার দরকার হয়, যা আমাদের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অথচ দেশে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় ৪ কোটি ১০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এই বিপুল জনগোষ্ঠী সরাসরি করোনাভাইরাস সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসময় সিগারেট তৈরি ও সরবরাহ অব্যাহত রাখার অনুমতি তামাকবিরোধী সংগঠনসহ জনমনে হতাশার জন্ম দিয়েছে। উল্লেখ্য, তামাক কোম্পানির সাথে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সখ্য নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই তারা রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ বিএটিবি’কে মনোনীত করেছে। বিএটিবি’তে রাষ্ট্রপতির নামে যে ০.৬৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি রয়েছে। এধরনের সুবিধা কাজে লাগিয়েই তামাক কোম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে নানারকম সুবিধা আদায় করে আসছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তামাক কোম্পানিকে প্রদত্ত সকল সুবিধা বাতিল করে করোনা সংকট মোকাবেলায় বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোই হবে সরকারের জন্য সর্বোত্তম পন্থা। আমাদের বিশ্বাস সরকার এই ক্রান্তিকালীন সময়ে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। |
||||