Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: February 2022
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে

বাজেটকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিড়িশ্রমিকদের কর কমানোসহ নানা দাবিতে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে বিড়ি শ্রমিকদের করবৃদ্ধি ঠেকানোর আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত নয়, মালিকদের সাজানো। ‘বাংলাদেশে বিড়িশ্রমিক আন্দোলনের কারণ অনুসন্ধান: একটি গুণগত বিশ্লেষণ’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, এসব আন্দোলন পরিচালনার পুরো দায়িত্বে থাকে মালিক পক্ষের কিছু লোক এবং কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার ও এজেন্ট। শ্রমিকদের কাজ শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা। আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য শ্রমিকদের পরিবহন, খাবারসহ সকল ব্যয় মালিক পক্ষ বহন করে। নিজস্ব অর্থ দিয়ে আন্দোলন করার সামর্থ্য দরিদ্র বিড়ি শ্রমিকদের নেই। এই আন্দোলনে প্রকৃত লাভবান হয় বিড়ি মালিকরাই।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, প্রকৃত বিড়িশ্রমিকদের কোন সংগঠন নেই এবং একটি বড় কোম্পানিই মূলত এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। বিড়ির দাম বাড়লে বিড়ি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে, শ্রমিকদের কাজ থাকবে না, সরকার বিড়ি শিল্প বন্ধ করে দিতে চায় এসব ভয় দেখিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের আন্দোলনে নামানো হয়। আন্দোলনে অংশগ্রহণ না করলে শ্রমিক কার্ড বাতিল কিংবা কারখানা বন্ধ রাখার হুমকিও দেয়া হয়।
গবেষণার সুপারিশ অনুযায়ী বিড়ির ওপর উচ্চহারে করারোপ, বর্ধিত কর থেকে আহরিত রাজস্ব বিড়ি শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যয়, কর আইন ও শ্রম আইন বিশেষত শিশুশ্রম ব্যবহার সংক্রান্ত আইন প্রতিপালনে বিড়ি শিল্পকে কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনা এবং বিড়ি শিল্প মালিকদের বিকল্প ব্যবসায় যেতে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান প্রভৃতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথ সুগম হবে।