Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: July 2022
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ নস্যাৎ করতে সংঘবদ্ধ তৎপরতা শুরু করেছে তামাক কোম্পানিগুলো। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইপিএবি), বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেন্ডস্টা), জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব) সহ বেশকিছু সংগঠনের ব্যানারে প্রেস কনফারেন্স এবং পলিসি ডায়লগ আয়োজনের মাধ্যমে খসড়া সংশোধনীর বিভিন্ন ধারা বিকৃতভাবে প্রচার করে জনগণ এবং নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। যেমন, আইন সংশোধন করা হলে প্রচুর মানুষ কাজ হারাবে, সরকারের রাজস্ব কমে যাবে, ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর এবং এটি নিষিদ্ধ হলে প্রচলিত সিগারেটের ব্যবহার বেড়ে যাবে প্রভৃতি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে কোম্পানিগুলো। এছাড়া আইন সংশোধনী প্রক্রিয়ায় মতামত প্রদানের দাবি জানিয়েছে তারা, যা এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ এর সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এই আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর বিরোধিতা করে মূলত তামাক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে আইপিএবি সহ এসব প্রতিষ্ঠানগুলো। আইপিএবির মূল কাজ মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ হলেও দুঃখজনক সত্য এই যে, এটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানির বশংবদ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিগত প্রায় দুই দশক ধরে আইপিএবির মহাপরিচালকের পদ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)-এর দখলে রয়েছে। বিএটিবির আরেকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়া আইপিএবির নির্বাহী কমিটিতে সরকারের চারটি মন্ত্রণালয়ের (শিল্প, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র) প্রতিনিধি থাকায় প্রতিষ্ঠানটি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের গেটওয়ে হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা অত্যাবশ্যক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অতি অল্প সময়ে আইনের খসড়া সংশোধনী প্রস্তুত, ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং অংশীজনের মতামত গ্রহণের কাজ শেষ করেছে। খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি সংশোধনী প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত জরুরি এবং সময়োপযোগী। আমাদের প্রত্যাশা, তামাক কোম্পানির অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হয়ে মন্ত্রণালয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে খসড়া আইন চূড়ান্ত করবে।