Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: July 2017
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

মৃত্যু বিপণন-১

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিয়ে বিএটিবি’র শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সুবিধা আদায়

শ্রম মন্ত্রণালয়ধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে বছর বছর অর্থ প্রদান এবং শ্রম সচিবকে ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে বিএটিবি মূলত ব্যবসায়িক সুবিধা আদায় এবং কোম্পানির সুনাম প্রতিষ্ঠার কাজ করে থাকে। উল্লেখ্য গত ৬ বছরে (২০১২-১৭) শ্রম মন্ত্রণালয়কে মাত্র ৩০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেছে বিএটিবি। কিন্তু গণমাধ্যমে সেগুলো এমনভাবে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে যেন বিএটিবির জন্মই হয়েছে শ্রমিক কল্যাণের জন্য, তামাক বিক্রির জন্য নয়। একইভাবে শ্রম-কল্যাণের নামে অনুদান নিয়ে বিএটিবি-কে শ্রম স্বার্থবিরোধী সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে শ্রম মন্ত্রণালয়। ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ‘জনস্বার্থে’ বিএটিবি-কে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১০০, ১০২, ১০৪, ১০৫ ও ১১৪ (১) এর বিধানের প্রয়োগ হতে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এবং এই অব্যাহতির সুবিধা নিয়ে কোম্পানিটি শ্রমিকদের দৈনিক শ্রমঘন্টা ৮ ঘন্টার পরিবর্তে ১০ ঘন্টা এবং সাপ্তাহিক ছুটি দেড় দিনের পরিবর্তে ১ দিন নির্ধারণ করেছে। মূলত শ্রমিকদের অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর জন্যই এ অব্যাহতি তাই এক্ষেত্রে জনস্বার্থ কিভাবে জড়িত তা বোধোগম্য নয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থায়ন, অনুদান প্রদানের মাধ্যমে কোম্পানির ইমেজ বৃদ্ধি এবং কোথাও কোথাও ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসায়িক সুবিধা আদায়ের প্রমাণ মিলেছে বিএটির বিরুদ্ধে। চলতি বছরের জুন মাসে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন এলায়েন্স-এফসিএ’র প্রকাশিত একটি পলিসি ব্রিফ এ বিএটি কর্তৃক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’কে অর্থায়নের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, তামাকচাষে শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে পূর্ব আফ্রিকার মালাউয়িসহ কয়েকটি দেশে আইএলও এর তত্ত্বাবধায়নে ‘ইলিমিনেটিং চাইল্ড লেবার ইন টোব্যাকো গ্রোয়িং (ইসিএলটি) ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক পরিচালিত প্রকল্পে ১৭ বছর ধরে অর্থায়ন করছে বিএটি। বিএটির ২০১৬ সালের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টেও এর সত্যতা মিলেছে। এর আগে, ২০১৫ সালে বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে অবৈধ সুবিধা পেতে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পায়। শুধু তাই নয়, অতিসম্প্রতি দি গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে আফ্রিকার বাজার দখলের লক্ষ্যে ঐ অঞ্চলের কমপক্ষে ৮টি দেশের সরকারকে জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপ গ্রহণে বিরত রাখতে বিএটি কর্তৃক হুমকি প্রদান, জবরদস্তি এমনকি মামলা করার তথ্য উঠে এসেছে। এসব দেশগুলো হচ্ছে কেনিয়া, উগান্ডা, নামিবিয়া, টোগো, গ্যাবন, কঙ্গো, ইথিওপিয়া ও বুরকিনা ফাসো।

বিএটিবির হস্তক্ষেপ ও আগ্রাসন বন্ধ না করা গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘২০৪০ নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জন সম্ভব হবেনা।