Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: August 2017
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

মৃত্যু বিপণন-১

হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে তামাক কোম্পানির গড়িমসি

মাননীয় হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ হতে সকল তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে উপরের অংশে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বাধ্যতামূলক মর্মে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলেও তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপের কারণে তা ভেস্তে যেতে বসেছে। সম্প্রতি তামাক কোম্পানির প্ররোচণায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন আরও ১ বছর স্থগিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর, যা তামাকবিরোধী আন্দোলনকারীদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। রাজস্ব হ্রাসের হুমকি দিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো গত বছর যেমন এনবিআর’কে তাদের পক্ষে এনেছিল, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবারও ঘটেছে। নতুন পদ্ধতিতে স্টাম্প/ব্যান্ডরোল লাগানোর মেশিন আমদানি করার অজুহাতে তামাক কোম্পানিগুলোকে ১ বছর সময় প্রদান করতে চায় এনবিআর। অথচ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা পাশ হওয়ার পর ইতিমধ্যে আড়াই বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এর আগে, প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন- বিসিএমএ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়ে প্যাকেটের নিম্নভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ পুনর্বহালের দাবি জানায়। এর প্রেক্ষিতে, গত ১০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে সিগারেট কোম্পানিসহ, আইন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এনটিসিসি’র প্রতিনিধি নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা এবং এ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তি বাতিল বা পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এনটিসিসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সিগারেট কোম্পানির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ (এমডি) একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, তামাকের বিরূপ প্রভাব উপলব্ধি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। আইন অনুযায়ী সঠিক পন্থায় দেশে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবেনা।