Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: April 2018
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

মৃত্যু বিপণন-১

ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃত্বে বিএটিবি!

যত বেশি তামাক বিক্রি, তত বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু। মৃত্যুবিপণনই বিএটিবি’র একমাত্র ব্যবসা। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সংগঠনসমূহ ব্যবসায় এবং শিল্প ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণের কল্যাণে শুরু থেকেই অবদান রেখে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এসব ব্যবসায়িক সংগঠনে তামাক কোম্পানির নেতৃত্ব জনস্বাস্থ্য ও সার্বিক অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সম্প্রতি টোব্যাকোইন্ডাস্ট্রিওয়াচবিডি টিম@প্রজ্ঞা এর তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনসমূহ, এসব সংগঠনের বিভিন্ন উপ কমিটি এবং দেশের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন পদে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এর উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর ডিরেক্টর, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট পদে বর্তমানে এই বহুজাতিক তামাক কোম্পানির প্রতিনিধি রয়েছে। এছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে গঠিত ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলিটেশন কোম্পানি (আইআইএফসি) এর একজন ডিরেক্টর হিসেবেও বিএটিবি’র প্রতিনিধি রয়েছে। ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইপিএবি) এর ডাইরেক্টর জেনারেল এবং ট্রেজারার হিসেবে বিএটিবি’র দুইজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কমিটিতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ রয়েছেন। এ সবকিছুর মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি জাতীয় বাজেটসহ বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করাই বিএটিবির প্রধান উদ্দেশ্য। যেমন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তুতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক আয়োজিত খাতভিত্তিক প্রাক বাজেট বৈঠকগুলোতে বিএটিবি’র প্রতিনিধিবৃন্দ একাধিকবার অংশগ্রহণ এবং নিজেদের দাবি তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। এই ধরনের সুযোগ অব্যাহত থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।