E-newsletter: July 2019 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
মৃত্যু বিপণন-১বিএটিবি’র নতুন ব্র্যান্ড, টার্গেট নিম্ন আয়ের মানুষ, কার্যকারিতা হারাচ্ছে কর পদক্ষেপ
সম্প্রতি বিএটিবি রয়্যালস নামে একটি নতুন ব্র্যান্ড বাজারে ছেড়েছে, যার প্রতি শলাকার দাম ৫ টাকা। অথচ বাজারে এই স্তরের (নিম্নস্তরের) অন্যান্য সব ব্র্যান্ডের এক শলাকা সিগারেটের দাম ৪ টাকা। চলতি ২০১৯-২০ বাজেটে মধ্যমস্তরের সিগারেটের দাম উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই বিএটিবি এই কৌশল গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ মধ্যমস্তরে থাকা তাদের এক মাত্র সিগারেট ব্র্যান্ড ‘স্টার’ এর ভোক্তাকে নতুন (রয়্যালস) ব্র্যান্ডে স্থানান্তর করতেই এই স্বল্পমূল্যের ব্র্যান্ডটি বাজারজাত শুরু করেছে কোম্পানিটি। বিক্রেতারাও স্টার সিগারেটের বিকল্প হিসেবে রয়্যালসকে উপস্থাপন করছেন। এমনকি স্টার সিগারেট সংক্রান্ত বিএটিবি’র হেলপ লাইনে ফোন করা হলে সেখানেও একটি পর্যায়ে ভোক্তাদের রয়্যালস সিগারেট খাওয়ার জন্য প্ররোচিত করা হচ্ছে। বর্তমানে এক শলাকা স্টার সিগারেটের মূল্য ৬.৫ টাকা। বিএটিবি’র এই আগ্রাসী বিপণন কৌশলের কারণে মধ্যমস্তরের ক্রেতা নিম্নস্তরে স্থানান্তরিত হলে সরকার প্রতি দশ শলাকা সিগারেটে ২১ টাকারও অধিক রাজস্ব হারাবে। বর্তমানে, সিগারেট বাজারের প্রায় ৭২ শতাংশ নিম্নস্তরের সিগারেটের দখলে রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৯-১০ সালে বিএটিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত সিগারেটের ৪৩ শতাংশই ছিল মধ্যম স্তরের, যা ২০১৭-১৮ সালে হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় মাত্র ১৭ শতাংশে। অথচ একই সময়ে নিম্নস্তরে বিএটিবি’র সিগারেট সরবরাহ ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং বিএটিবির প্রধান লক্ষ্যই এখন নতুন নতুন ব্র্যান্ড প্রচলনের মাধ্যমে এই নিম্নস্তরের সিগারেট বাজার আরও সম্প্রসারিত করা এবং ভোক্তাদের স্বল্পমূল্যে ধূমপানে উৎসাহিত করা। একাধিক মূল্যস্তর প্রথা চালু থাকায় সিগারেট কোম্পানিগুলো এভাবেই করারোপ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা হ্রাস করে দেয়। সিগারেট কোম্পানিগুলোর এই কূটকৌশল রুখতে অবিলম্বে একটি কার্যকর কর ও শুল্কনীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। |
||||