Sun Sun Sun Sun
E-newsletter: June 2017
 

জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top

মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1

মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2

Death Marketing Around

 

মৃত্যু বিপণন-২

বিএটিবি’র ধোঁকা! আন্তর্জাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্য ৩৫ টাকা না ২৭ টাকা?

বহুজাতিক তামাক কোম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত নিম্নস্তরের সিগারেটের (১০ শলাকা) মূল্য ৩৫ টাকা নয় ২৭ টাকা উল্লেখ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি)! অথচ জাতীয় বাজেটে দেশীয় তামাক কোম্পানিকে সুরক্ষা প্রদানে সিগারেটের নিম্নস্তরকে দেশি ব্রান্ড এবং আন্তর্জাতিক ব্রান্ড নামে দুটি নতুন স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। দেশি ব্রান্ডের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা এবং আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী তার বাজেট ঘোষণায় বলেছেন, “বিগত কয়েক বছরের নিম্ন মূল্যস্তরের সিগারেটের বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেট শেয়ার বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, দেশীয় কোম্পানিগুলো ক্রমান্বয়ে তাদের বাজার হারাচ্ছে এবং বহুজাতিক কোম্পানি সেটি দখল করে নিচ্ছে যা দেশীয় শিল্পের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী দু’ বছরের মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব আর থাকবে না।” এছাড়াও বহুজাতিক তামাক কোম্পানি কর্তৃক নিম্ন মূল্যস্তরে বাজারজাতকৃত সিগারেট ব্রান্ড আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত বিধায় এ ধরনের অসম প্রতিযোগিতা বিবেচনায় নিয়ে দেশীয় শিল্প সুরক্ষার নামে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট ঘোষণায় উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে একমাত্র বিএটিবিই নিম্নস্তরে সিগারেট উৎপাদন করে থাকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও বিএটিবি নিম্নস্তরে উৎপাদিত ৫টি ব্রান্ডের সিগারেটের মূল্য ৩৫ টাকার পরিবর্তে দেশি ব্রান্ডের ন্যায় ২৭ টাকা হিসেবে উল্লেখ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। তাহলে কোন বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেট নিম্নস্তরের বাজার দখল করছে এবং মাননীয় অর্থমন্ত্রী নিম্নস্তরের কোন আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের মূল্য ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব করলেন তা বোধগম্য নয়। বাজেট ঘোষণায় এই কারসাজি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটেও কর বাড়ানো হয়নি এবারের বাজেটে। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি বিএটিবি, যাদের উৎপাদিত ১৫টি ব্রান্ডের সিগারেটের মধ্যে ১০টিই উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের এবং ৫টি ব্রান্ড নিম্ন মূল্যস্তরের।