E-newsletter: June 2014 | ||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে Public Health On Top মৃত্যু বিপণন-১ Death Marketing-1 মৃত্যু বিপণন-২ Death Marketing-2 Death Marketing Around |
||||
জনস্বাস্থ্য সবার উপরে
সদ্য পাশ হলো ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। তামাকপণ্যে কার্যকরভাবে কর আরোপিত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তামাক কোম্পানিগুলোই লাভবান থাকলো। বিগত বছরগুলোর মতো চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাস জুড়েই তামাক কোম্পানিগুলো সাংসদদের মাধ্যমে ডিও লেটার পাঠানো, রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবিত করা, এনবিআর-এর সাথে গোপন বৈঠক, রাতারাতি ভুয়া তামাক বিরোধী সংগঠন বানিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার, ভাড়া করা লোকদের বিড়ি শ্রমিক সাজিয়ে বিড়িতে কর না বাড়ানোর জন্য মানববন্ধন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তথাকথিত গবেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিড়ি মালিকদের স্বার্থসংরক্ষণের নানাবিধ প্রচেষ্টা প্রভৃতি অব্যাহত রেখেছিল। বাজেটে এসব কূটকৌশলের প্রতিফলন অনেকটাই ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা। এবারের বাজেটে অতি উচ্চমূল্যের সিগারেটে কর আরোপিত হয়নি। সস্তা ও মধ্যম মানের সিগারেটে কর হার ৪% এবং উচ্চমূল্যের সিগারেটে কর হার ২% বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে তামাক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিতে যথারীতি সব স্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বিভিন্ন হারে। বিড়ির উপর নাম মাত্র হারে কর বাড়ানো হয়েছে। এতে শলাকাপ্রতি বিড়ির মূল্য বাড়বে মাত্র ৩ পয়সা। অথচ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিবেচনায় গত বছরের তুলনায় তামাকসেবীদের তামাকপণ্য ক্রয়ের সামর্থ্য অর্থাৎ মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় ১৪ গুণ। এভাবেই অকার্যকর ও অপর্যাপ্ত করারোপের ফলে প্রতিবছর তামাকপণ্য সস্তা থেকে যায়। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে ব্যর্থ হই আমরা। তবে আশার কথা, অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় তামাকে কর বৃদ্ধির যৌক্তিকতা অত্যন্ত জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং জনস্বাস্থ্য সবার উপরে এই নিখাদ সত্য খানিকটা হলেও উপলব্ধি করে বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের উপর ১% হারে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ’ আরোপ করেছেন। ধন্যবাদ অর্থমন্ত্রী মহোদয় আপনাকে। |
||||